ক্যাটাগরি কবিতা
তিন বোন
তিন বোন
মমদের তিন বোন
করল কি শোন কাল,
কাঁচা আম নুন মেখে
তার সাথে খেল ঝাল।
করল কি শোন কাল,
কাঁচা আম নুন মেখে
তার সাথে খেল ঝাল।
ঝাল খেয়ে লাল হয়ে
চোখ দুটো জবা ফুল,
মুখ জ্বলে গাল জ্বলে
চিৎকারে টানে চুল।
মম কয় শোন হাসি
ঝাল কভূ খাব না,
মিঠে আর টক খাব
ঝাল ছুতে যাব না।
খুশি খুব ছোটতো
এত কি বোঝে সে?
চোখে জল নিয়ে তাই
মাকে যাই খুঁজে সে।
কান্ডটা দেখে মা
হেসে কুল ছড়ালেন,
কোল পেতে বেবিকে
নিতে হাত বাড়ালেন।
(বরেন্দ্র কইন্যা ’রুপালী খাতুন’-এর ছড়া।
লেখিকা একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী)
প্রতিভা কী?
প্রতিভা কী?
কবির প্রতিভা নিয়ে নাওনি তুমি জন্ম
তবুও লেখ তুমি সুন্দর কবিতা।
তবুও লেখ তুমি সুন্দর কবিতা।
কোন শিল্পির প্রতিভা নিয়ে নাওনি তুমি জন্ম
তবুও আঁক তুমি স্বপ্নের অমিতা।
তবুও আঁক তুমি স্বপ্নের অমিতা।
কোন গায়কের প্রতিভা নিয়ে নাওনি তুমি জন্ম
তবুও গাও তুমি সুন্দর গান।
তবুও গাও তুমি সুন্দর গান।
কোন সেবকের প্রতিভা নিয়ে নাওনি তুমি জন্ম
তবুও দেশের জন্য নিবেদিত তোমার প্রাণ।
তবুও দেশের জন্য নিবেদিত তোমার প্রাণ।
আসলে প্রতিভা কিছুই নয়
শুধুই পরিশ্রম।
হতে পারবনা কিছুই আমরা
যদি না দেই শ্রম।
শুধুই পরিশ্রম।
হতে পারবনা কিছুই আমরা
যদি না দেই শ্রম।
(বরেন্দ্র কইন্যা ‘রহিমা খাতুন পলি’র কবিতা।
লেখিকা দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী)
লেখিকা দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী)
ব্যর্থ স্বপ্ন
ব্যর্থ স্বপ্ন
না জানি হলো একি!
শেষ রাতে তোমায় দেখি,
অচেতনে তোমাকে পাই,
চেতনে তুমি নাই।
শেষ রাতে তোমায় দেখি,
অচেতনে তোমাকে পাই,
চেতনে তুমি নাই।
হারিয়ে যাও স্বপ্নের গহীন অঞ্চলে
যেন এভারেষ্ট ছুয়ে নগর সভ্যতা
শুধুই ব্যর্থতা।
যেন এভারেষ্ট ছুয়ে নগর সভ্যতা
শুধুই ব্যর্থতা।
মনের ফ্রিজে রাখা ভালোবাসা
উষ্ণ হয়ে ওঠে না পেয়ে আশা,
সারাক্ষণ তোমায় ভাবি
রাখনা তবু আমার দাবি।
উষ্ণ হয়ে ওঠে না পেয়ে আশা,
সারাক্ষণ তোমায় ভাবি
রাখনা তবু আমার দাবি।
(বরেন্দ্র কইন্যা ‘মাহামুদা খাতুন’-এর কবিতা।
লেখিকা একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।)
লেখিকা একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।)
তোমারি ছবি এঁকেছি
তোমারি ছবি এঁকেছি
এ জীবনে মাত্র একটিই ছবি এঁকেছি
সেতো শুধু তোমারি ছবি,
তাকে পরম যত্নে তুলে রেখেছি
মনের নিভৃত দেয়ালে।
সেতো শুধু তোমারি ছবি,
তাকে পরম যত্নে তুলে রেখেছি
মনের নিভৃত দেয়ালে।
কাউকে কোনদিনও ছবিটি দেখাইনি
কেউ কোনদিনও দেখবেনা ছবিটি,
হয়তো তুমিও জানবেনা,
তাকে পরম যত্নে বেঁধে রেখেছি মনের গভীরে
বৈশাখের রোদে বর্ষার প্রত্যাশা মাখানো ফ্রেমে
আমার বুকের গভীরে।
কেউ কোনদিনও দেখবেনা ছবিটি,
হয়তো তুমিও জানবেনা,
তাকে পরম যত্নে বেঁধে রেখেছি মনের গভীরে
বৈশাখের রোদে বর্ষার প্রত্যাশা মাখানো ফ্রেমে
আমার বুকের গভীরে।
তুমিও জানো না বোধহয়
তোমার ছবিটি কে আঁকলো কবে
রাখলো কোথায়?
তোমার ছবিটি কে আঁকলো কবে
রাখলো কোথায়?
(বরেন্দ্র কইন্যা ‘মরিয়ম খাতুন মিতুর’ কবিতা
লেখিকা দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী)
ভালোবাসি ভালোবাসি
ভালোবাসি ভালোবাসি
ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি
শুধু তোমাকে ভালোবাসি
সেই কবে থেকে যখন তোমার ঐ চোখ
আমার চোখে এসে পড়ে
যখন তোমার ঐ হাসি
আমার সামনে ভেসে উঠে
তখনি শুধু তোমার কথা মনে পড়ে।
শুধু তোমাকে ভালোবাসি
সেই কবে থেকে যখন তোমার ঐ চোখ
আমার চোখে এসে পড়ে
যখন তোমার ঐ হাসি
আমার সামনে ভেসে উঠে
তখনি শুধু তোমার কথা মনে পড়ে।
তোমার কথায় ক্রমশই এ মনের
মরা জড়বস্তু সবুজাত হয়ে বেঁচে উঠে
তাইতো তোমাকে ভালোবাসি
ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি
শুধু তোমাকেই ভালোবাসি।
মরা জড়বস্তু সবুজাত হয়ে বেঁচে উঠে
তাইতো তোমাকে ভালোবাসি
ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি
শুধু তোমাকেই ভালোবাসি।
(বরেন্দ্র কইন্যার ‘মরিয়ম খাতুন মিতুর কবিতা।
লেখিকা দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী)